ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে পাকিস্তান শুরু করেছে একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক প্রতিক্রিয়া—‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’। এই অভিযানের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ডেকেছেন ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) জরুরি বৈঠক।
ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (এনসিএ) পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক ও সামরিক কমান্ড কাঠামো, যা দেশের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এবং কৌশলগত সম্পদের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। এটি কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নীতিনির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করে থাকে।
নিরাপত্তা সূত্র অনুযায়ী, শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তান ভারতের একাধিক কৌশলগত ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। লক্ষ করা হয়েছে পাঞ্জাবের বেয়াস অঞ্চলের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার, উদমপুর বিমানঘাঁটি, পাঠানকোট এবং আদমপুর বিমানঘাঁটি।
এছাড়াও হামলা চালানো হয়েছে ভারতের জি-টপ এলাকায় অবস্থিত ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং উরির একটি সরবরাহ ডিপোতে। পাকিস্তানের দাবি, তারা দেহরাংগিয়ার একটি ভারতীয় আর্টিলারি ইউনিট এবং নাগরোটার একটি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারেও সফলভাবে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের অত্যাধুনিক ‘আল-ফাতাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে ভারতের পূর্ববর্তী হামলায় নিহত হওয়া পাকিস্তানি শিশুদের স্মরণে। এটি পাকিস্তানের কৌশলগত সক্ষমতার একটি শক্ত বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনসিএ’র জরুরি বৈঠকে ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ এবং পারমাণবিক সংবেদনশীলতাসম্পন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত বা আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন অভিযানে উপমহাদেশে আরেকটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ