কাশ্মীর সীমান্তে রাতভর ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি

কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অফ কন্ট্রোল) ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে রাতভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে এমনই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি, যা দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা হালকা অস্ত্র ও কামানের গোলা বিনিময় করেছে। সংঘাত হয়েছে মূলত কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি ও আখনূর সীমান্তবর্তী এলাকায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাতের বেলা জম্মু ও কাশ্মীরের উল্লিখিত এলাকাগুলোর উল্টোদিকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাচৌকি থেকে বিনা উসকানিতে ছোট অস্ত্র থেকে গুলি এবং কামানের গোলা বর্ষণ করা হয়।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের হামলার পর ভারতীয় সেনারা যথাযথভাবে তার জবাব দিয়েছে।

এই গোলাগুলিতে উভয় পক্ষেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং সীমান্তে গোলাগুলিতে তাদের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

অন্যদিকে ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের অন্তত ১২ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ঘটনার পর বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘বিনা উসকানিতে চালানো ভারতের এই হামলার বদলা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলার জবাব কূটনৈতিকভাবে নয়, সামরিকভাবে দেওয়া হবে।

সীমান্তে সংঘাতের বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার এই সামরিক উত্তেজনা নতুন করে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সীমান্তে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন কাশ্মীরের দিকে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল

Leave a Reply