ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ (BSF) এর জন্য ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন এবং দুটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার গঠনের পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন ব্যাটালিয়নগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় ১৭ হাজার সৈন্য, যা ধাপে ধাপে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। পূর্ব সীমান্তের মিজোরাম এবং পশ্চিম সীমান্তের জম্মু অঞ্চলে গড়ে তোলা হবে দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার। এই পদক্ষেপে ভারতের সীমান্ত রক্ষায় নতুন দিক খুলে যাবে এবং নিরাপত্তা আরও সুরক্ষিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই নজিরবিহীন প্রস্তুতির পেছনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রেক্ষাপট রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের গুঞ্জন ঘিরে পূর্ব সীমান্তে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সম্প্রতি ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মাত্রা বাড়িয়েছে।
বর্তমানে বিএসএফ ৬ হাজার ৭২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পাহারা দেয়, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কিলোমিটার এখনও সুরক্ষা বেড়া ছাড়া রয়েছে। বিশেষভাবে নদী ও দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলে মনে করছে বিএসএফ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক হুমকি প্রতিরোধ নয়, বরং ভারতের দীর্ঘমেয়াদী সীমান্ত কৌশলের অংশ। ভবিষ্যতের জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য একটি প্রস্তুত ও সক্ষম বাহিনী গড়াই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই পুরুষ ও নারী সদস্যদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু করবে বিএসএফ।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ