ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে একাধিক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত এক পোস্টে এমন দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তবে ভারত দাবি করেছে, এসব ড্রোন হামলা তারা সফলভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় নিয়োজিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়।
একজন রয়টার্স সাংবাদিক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের সময় চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে এবং শহরজুড়ে সাইরেনের শব্দ ভেসে আসে। এসব ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি গোপন সূত্র জানায়, পাকিস্তান থেকে ছোড়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র জম্মুর সাতওয়ারি, সাম্বা, রণবীর সিং পুরা ও আরনিয়া এলাকাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সেগুলো সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
এই ঘটনার জন্য এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের সেনাবাহিনী একে পাকিস্তানের হামলা বলেই সন্দেহ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। যদিও পাকিস্তান তা নাকচ করে দেয়।
এই উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযান চালায় ভারত। ওই রাতেই পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
এই পাল্টাপাল্টি অভিযানে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ