ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে গতকাল মঙ্গলবার ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো এ হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এখন পর্যন্ত। পুরো ভারতজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তীব্র ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে।
শোকের এই ছায়া বিস্তৃত হয়েছে মুম্বাইয়ের শোবিজ অঙ্গনেও। এ ছাড়া, পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনেও দেখা গেছে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সমবেদনা প্রকাশের ঢেউ।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান সামাজিক মাধ্যমে পহেলগামের এই নির্মম ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে লেখেন, “বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে যেকোনো হিংসাত্মক ঘটনা কাপুরুষতার পরিচয়। পহেলগামে নিহত সকলের প্রতি আমি শোকাহত।”
তবে, তার পোস্টটি ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার আগেই মুছে ফেলেন মাহিরা খান। ঠিক কী কারণে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এ ছাড়া, পাকিস্তানের আরেকজন খ্যাতিমান অভিনেতা ফাওয়াদ খানও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “পহেলগামে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য ঘটনার খবর পেয়ে আমি দুঃখিত। প্রার্থনা করছি নিহতদের পরিবারের জন্য। আমরা নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তারা যেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তি খুঁজে পান।”
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাওরা হোসেন, যিনি ভারতে ‘সানাম তেরি কাসাম’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তিনিও শোক প্রকাশ করে লিখেন, “নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি সমব্যথী। কোনো একজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ মানে আমাদের সকলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ। এই বিশ্বে এ কী হচ্ছে?”
পাকিস্তানের আরও এক জনপ্রিয় তারকা হানিয়া আমির এই দুঃখজনক ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “যন্ত্রণা, শোক ও আশা — এই তিন মিলিয়ে আমরা সবাই এখন একসঙ্গে। নিরীহ প্রাণের এমন পরিণতি হলে সেই যন্ত্রণা শুধু তাদের একার থাকে না। সেই যন্ত্রণা আমাদের সকলের হয়ে যায়।”
কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া এই নির্মম হামলায় নিহতদের স্মরণে গোটা ভারত ও পাকিস্তানের শোবিজ অঙ্গন শোকাহত। মানবতার এই দুঃসময়ে সবাই একসঙ্গে কষ্ট ভাগ করে নিচ্ছেন, প্রার্থনা করছেন শান্তির জন্য।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ