যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন অভিবাসননীতির আওতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কয়েক ধাপে মোট ৩১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো ৩১ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। এদের মধ্যে কেউ কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন, আবার কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে মামলা সংক্রান্ত অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।
ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের বেশিরভাগকে নিয়মিত বাণিজ্যিক বিমান অথবা ভাড়া করা বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়েছে। তবে এ তালিকা থেকে তিনজনকে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছেন। সর্বশেষ গত শনিবার একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করার আগে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারকে একটি তালিকা পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেয়। এই প্রক্রিয়াটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্রবিহীন ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করেছে, যাদের আটক করে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে সীমিতসংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ফলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, এ প্রক্রিয়া আরও বিস্তৃত হতে পারে, যদি ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির ধারা অব্যাহত থাকে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ